লোভ, বিশ্বাসভঙ্গ, বিচ্ছেদ, অপরাধ, হত্যা—সবকিছুর নেপথ্যে একটাই কারণ, টাকা। রায়হান রাফির সুড়ঙ্গর গল্পকে একটা বাক্যে তুলে ধরতে বললে হয়তো এভাবেই বলতে হবে। এটা প্রেম, রোমাঞ্চ, গান, কমেডি, অ্যাকশন, সব মিলিয়ে পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক সিনেমা।
বাণিজ্যিক, তবে মোটেও চেনা ছকে গল্পটা বলেননি রাফি। সুড়ঙ্গকে অনেকেই বলছেন রায়হান রাফির এযাবৎকালের সেরা নির্মাণ। শুধু কি রায়হান রাফি? আফরান নিশো, তমা মির্জা—সবারই অভিনয় জীবনের সেরা কাজ বললে কি খুব বাড়াবাড়ি হবে? গত রোববার রাতে কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমাসে ‘সুড়ঙ্গ’ দেখা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এ কথাই মনে হচ্ছিল।
সিনেমাটি নিয়ে বলার আগে একটি কথা না বলে পারছি না। হলে আক্ষরিক অর্থেই উপচে পড়া ভিড়। শুধু রোববার নয়, ঈদের পর সব কটি দিনই এমন দৃশ্য দেখা গেছে, জানালেন হলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। রীতিমতো উৎসবমুখর পরিবেশ!
বাইরে বৃষ্টি, ভেতরে সুড়ঙ্গ। আমরা লাইন ধরে দ্রুত সুড়ঙ্গ দেখতে ঢুকে যাই। মুক্তির আগে শোনা গেছে, সত্যি ঘটনা অবলম্বনে ছবিটা তৈরি হয়েছে। ওই কাহিনির সঙ্গে কতটা মিল-অমিল, এই নিয়েও অনেক কথা হয়েছে
এসব শুনে যাঁরা বিশ্বাস করেছেন, তাঁরা ধাক্কা খাবেন। যেমনটা ধাক্কা খেতে হয়েছে বিরতির আগের আর পরের সুড়ঙ্গ দেখে। প্রথমে মনে হয়েছিল, একটা রোমান্টিক সিনেমা দেখছি, পরে মনে হলো থ্রিলার! প্রেম ও অপ্রেমের গল্প। ফিকশন আর নন–ফিকশনকে এমনভাবে মিলিয়েছেন পরিচালক যে কোনটা গল্প আর কোনটা বাস্তব, বোঝা দায়। যেন একটার ভেতর অনেকগুলো সুড়ঙ্গ!